যে কোন স্কীল থাকলে তাকে কোন না কোন ভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে কিছু কিছু স্কীলের ডিমান্ড একটু বেশি থাকে, এর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম।
কেন?
কারন প্রতিটা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানকেই একটি নির্দিষ্ট পরিমান কম্পিটিশন ফেস করতে হয়। একই অডিয়েন্সকে টার্গেট করে একই রকম প্রোডাক্ট অনেক গুলো প্রতিষ্ঠান বিক্রি করতে চায়।
আর প্রোডক্ট তৈরি হতে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত অনেকগুলো ধাপ পার করতে হয় আর তার প্রতিটিই আসলে একটু কমপ্লেক্স। এবং এখানেই মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট মুল ভুমিকা রাখে। যেহেতু বেপারটা কমপ্লেক্স, তাই সবাই পারে না, আর যেহেতু সবাই পারে না, তাই যারা পারে তাদের ডিমান্ড অনেক বেশি।
এখানে কাস্টমারের সাইকোলজি হতে শুরু করে নানান রকম যায়গাতে কাজ করতে হয়।
আবার পৃথিবীর বেস্ট প্রোডাক্টটাও এমনি এমনি বিক্রি হবে না, ফানেল তৈরি করতে হবে। যাই হোক সেই বেপারগুলো নিয়ে পরে লিখবো। আজকে লিখবো একজন ডিজিটাল মার্কেটার কিভাবে তার ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারে।
১) ফ্রীল্যান্সিং করতে পারে। মার্কেটে প্রচুর কাজ আছে ডিজিটাল মার্কেটিং রিলেটেড।
২) লোকাল কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারে। এখন প্রায় প্রতিটি বড় প্রতিষ্ঠানেই ডিজিটাল মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট থাকে, এবং তা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। তাই এখানে প্রচুর জন অপরচুনিটি আছে এবং এর ট্রেন্ড উর্ধমুখি।
৩) প্যাসিভ ইনকাম করা যেতে পারে। যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটার জানে কিভাবে সাইটে ট্রাফিক জেনারেট করতে হয়, কিভাবে ফানেল তৈরি করতে হয়, কিভাবে ব্র্যান্ডিং করতে হয়, তাই সে এই স্কীল টাকে কাজে লাগিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে, অথবা সিপিএ অথবা এডসেন্স পাব্লিশার হিসেবে উপার্যনের অনেক সুযোগ রয়েছে।
৪) এজেন্সি তৈরি করা। বড় করে প্লান করে একাধিক মার্কেটার নিয়ে নিজের এজেন্সি তৈরি করে অন্য ক্লায়েন্টদের কাছে সার্ভিস সেল করা যেতে পারে।
৫) এছাড়াও অন্য কোন বিজনেস থাকলে নিজের ডিজিটাল মার্কেটিং স্কীল কাজে লাগিয়ে সেটার গ্রোথ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
এখন মনে হতে পারে, ওয়াও, হাজার হাজার ডলার, লাখ লাখ টাকা। বেপারটা এমন না, স্কাই ইস দ্যি লিমিট। অনেক মার্কেটার আছে যারা এক ঘন্টার একটি কন্সালটেশন এর জন্য ১০,০০০ ডলার চার্জ করে। আবার অনেক আছে ২ ডলার চার্জ করেও ক্লায়েন্ট পাচ্ছে না।
ফুটবলের সাথে তুলনা করতে পারেন, মেসিও ফুটবল খেলে, আবার আমার এলাকার এক ছোট ভাইও খেলে। দুইজনই ফুটবলার, কিন্তু একজন মাসে ৫০০০ টাকাও কামাতে পারছে না, আরেকজন হয়ত খরচ করে শেষ করতে পারছে না। বেপারটা নির্ভর করবে কে কতটুকু দক্ষ হতে পেরেছে।
তাই কোন একটি স্কীল ডেভেলপ করতে চাইলে মনে প্রানে কাজে লেগে যান, শুরুর দিকে ইনভেস্ট করুন স্কীল ডেভেলপ করার জন্য, দক্ষ হতে পারলে রিটার্ন অনেক গুন চলে আসবে। শুধু মাত্র টাকার লোভে কোথাও ঝাপিয়ে পরাটা বুদ্ধিমানের কাজ না। আমি আগামি মাসে কত টাকা কামাবো, এটাই জানিনা, আপনি কত টাকা কামাবেন আমি কিভাবে বলবো?
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন এই সেক্টরে হাজার হাজার কিংবা লাখ টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনার দক্ষতা কতটুকু হওয়া জরুরী । কারণ আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার আগে ইতিমধ্যে অনেকেই মার্কেটে রয়েছে । আপনি আজকে শুরু করলে আগামীকাল কিংবা পরশুদিন আরও অনেকেই মার্কেটে চলে আসবে যারা কিনা অনেক আগে থেকেই শেখা শুরু করেছিল । তাই এদেরকে অতিক্রম করে জায়গা পাকা করতে চাইলে আপনাকে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়েই মার্কেটে প্রবেশ করতে হবে । নয়ত কিছুদিন পরে পথ হারিয়ে ফেলবেন ।
একটা টিপস দেই, কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার আগে সেই প্রতিষ্ঠানের ১০ জন শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচয় গোপন করে কথা বলুন । এতে করে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তারা বলে দিবে কেমন প্রতিষ্ঠানে সে অধ্যয়ন করছে । আপনি যদি তাদের বলেন, ভাই, আমি এখানে ভর্তি হবো, এতে করে সঠিক ইনফো নাও পেতে পারেন । আমরা জাতে বাঙালি তো, অনেকেই নিজের লেজ কেটে আরেকজনের লেজকাটার জন্য রেডি হয়ে বসে থাকে । তাই সাবধানে খোঁজ নিন । এতে ভালোভাবে জানতে পারবেন ।
0 মন্তব্যসমূহ